বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকারুজ্জামান সম্পর্কে
- AbuSayed Mahfuz
- Feb 28
- 2 min read
বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকারুজ্জামান সম্পর্কে বেশ কয়েকবার বেশ কয়েকটি সোর্সে জানলাম তিনি মধ্যম বা নিন্ম মেধার মানুষ ছিলেন। সেনাবাহিনীর ভেতরের কেউ কেউ বলেছেন। এমনকি যারা তাঁকে ছেলেবেলা থেকে চেনেন তাদেরও কেউ কেউ বলেছেন যে, ওয়াকার কখনই আহামরি বা খুব চোখে পড়ার মত কেউ ছিলেন না। সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের কেউ কেউ দাবী করেছেন তিনি বিদেশে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং যেতে পেরেছেন তার বাবার প্রভাব তথা মামুর জোরে। তারপর শেখ হাসিনার সাথে আতœীয়তা। সে যাক, তারপরও তিনি বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। পদাধিকার বলে তাকে আমরা সম্মান করতে চাই। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর সাম্প্রতিক ফুল স্টপ মার্কা বক্তব্য পুরোটাই লেজে গোবরে করে দিয়েছে। এবং তিনি যে একজন নিন্ম মেধার লোক তা প্রমাণ করে দিয়েছেন।
প্রথম আসি তাঁর ফুল স্টপ নিয়ে। আমার মনে হয় এটা এখন একটা জাতীয় কেীতুক হয়ে গেছে। ফুল স্টপ। ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে ”নেভার স্যা নেভার”, অর্থাৎ কক্ষনই করবোনা, কখনোই হবে না। এখুনি করতে হবে এমন সব খুব শক্ত শব্দ বুদ্ধিমান ব্যাক্তিরা ব্যাবহার করেন না। ফুল স্টপ শব্দটা একটা কঠিন শব্দ কোন জ্ঞানী ব্যাক্তি এ ধরনের শব্দ ব্যাবহার করবেন না। আরেকটা হলো আপনার ফুল স্টপ মার্কা কথা আইনের লঙ্ঘন, বিচার ব্যাবস্থার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। পৃথিবীর কোন দেশেই বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলা আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা। যে কোন দেশের আইনেই একটা বিচার কোননা কোন ভাবে হয়ে যাবার পর আপিল করার আইন এবং নিয়ম রয়েছে। পিলখানা হত্যাকান্ডের ব্যপারটা বিচারাধীন। সেটা নিয়ে ফুল স্টপ বলা বিচার কাজে বাধা দেয়ার শামিল।
দ্বিতীয়ত তিনি ডঃ ইউনুসকে অসম্মান করে সম্মোধন করেছেন। এ ধরনের সম্বোধন করে তিনি কতটুকু ভুল বা অপরাধ করেছেন কিংবা এটা আইন বা প্রটোকলের খেলাপ কিনা সেটা টেকনিক্যাল ব্যাপার আমি জানি না। কিন্তু আমি আমার সোজা ভাষায় জানতে চাই এ ধরনের বেয়াদবী আর অসেীজন্যমূলক ব্যাবহার করে তিনি কি হাসিল করেছেন বা করতে চেয়েছেন। তিনি কি মনে করেছেন এ ধরনের অসেীজন্যমুলক ভাষা ব্যাবহার করে তিনি নিজে খুব শক্তিশালি সেটা বুঝাতে পারবেন? তিনি যে বেকুব সেটারই প্রমান দিলেন। তৃতীয়ত তিনি তাঁর বক্তব্যে এক পর্যায়ে বলেছেন ”ডক্টর ইউনুস আমার সাথে একমত হয়েছেন।” জেনারেল ওয়াকার এর ধরনের মন্তব্য যে কত বড় অজ্ঞতা এবং অভদ্রতা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে কোন ভদ্র সমাজের ভদ্্র সংস্কৃতি কিংবা ডিপ্লোমেটিক নিয়মের সাথে পরিচিত ব্যাক্তিই জানেন। দুজন ব্যাক্তি বা দুটো দেশ বৈঠক করার পর যেীথ বিবৃতি দেন, এবং বলেন আমরা একমত হয়েছি। আমরা শব্দ ব্যাবহার করা হয়। কোন অভদ্র আর অপদার্থ ছাড়া কেউ আমি আমি করে না। চতুর্থত মনে করুন ওয়াকার মনে করেন ক্ষমতা এখন তার হাতেই। মনে করাটা অসম্ভব নয়, যেহেতু আমাদের কাছে স্পষ্ট তার পেছনে ভারত আছে। তিনি হাসিনা মনোনীত, হাসিনার আতœীয় সর্বোপরী যেহেতু তার হাতে অস্ত্র আছে, সেনাবাহিনী কথায় কান ধরে উঠে বসে সেহেতু তিনি মনে করতেই পারেন তিনি মহাশক্তিশালি। কিন্তু যে কোন বুদ্ধিমান মানুষ বুঝবে যে ক্ষমতা থাকলেও কেউ এভাবে কথা বলে না। শক্তিমানরা কখনোই চিল্লায় না। শক্তিমানরা আস্তে আস্তে কথা বলে, ঠান্ডা মাথায় কথা বলে।
জেনারেল ওয়াকার এর এই বক্তব্যের মধ্যে ইমোশন ছিল আবেগ ছিল, তিনি যে রেগে আছেন সেটার প্রমান আছে তারঁ বডি ল্যাঙগুয়েজে। ওয়াকার মিয়া, সত্যি আমার বুঝে আসে না আপনি কেন এত লাফাচ্ছেন। আপনার চেয়ে এরশাদ কাকু অনেক চালাক ছিল, তিনি তো কবিও ছিলেন। ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খান আপনার চেয়ে অনেক শক্তি ছিল এবং দেখিয়েছেন। আপনি হেডম দেখান কোন বলে। আপনি যে খুব চালাক সেটা ও না। খোদার কসম আপনার চেহারা খান দেখলে আমার কাছে কেমন যেন বোদাই বোদাই লাগে। আজকালকার পোলাপান সম্ভবত এটাকে মফিজ বলে। আপনার চেহারা দেখলে আমার কাছে মফিজ মফিজ মনে হয়।
Комментарии